আমাদের প্রিয় দেশ রত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের তৃণমূল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে নিভৃত গ্রামাঞ্চলে গড়ে তোলা প্রায় চৌদ্দ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থানীয় বাসিন্দদের স্বাস্থ্য সেবার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সেখানে প্রসূতি মায়ের নিরাপদ প্রসব সহ বিভিন্ন গুরুতত্বপূর্ণ সেবা ও পরামর্শ দ্ওেয়া হচ্ছে। দেশের জনগণকে একটি নির্দিষ্ট মান সম্মত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গ্রামীণ জনগনের দোর গোড়ায় একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্যাকেজের’ মাধ্যমে সমন্নিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রাম/ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন ও কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন করে কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আর জনগণ পাচ্ছে হাতের নাগালে স্বাস্থ্য সেবা। বর্তমান সরকারের গৃহীত রূপকল্পের ২০২১ ও ২০৪১ সালের ভিশন ও মিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মানব সম্পদের উন্নয়নের জন্য ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার অব্যবহিত পর পরই দেশের সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার পর্যায়ক্রমে উপজেলা হাসপাতাল,জেলা হাসপাতাল এবং টারসিয়ারী পর্যায়ে অধিক সংখ্যক মেডিকেল কলেজ স্থাপন করার উদ্যেগ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে সরকার ২০০০ সাল নাগাদ (সকলের জন্য স্বাস্থ্য) অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করে এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত কার্যক্রমে ব্যাপকতা ও ব্যপ্তি আরো প্রসারিত করে ।দেশের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের তুলনায় জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। দেশের পল্লী এলাকার জনগণকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের সুবিধার্থে ও প্রাথমিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গ্রামীণ পর্যায়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তথা কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্টার উদ্যেগ নেয়। দেশের শহর এলাকায় সরকারী বেসরকারী পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মিত হওয়ার পর ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে সরকার পল্লী এলাকায় কমবেশী ৬০০০ জনগোষ্টির জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০০১ সালের মধ্যে ১০,৭২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ এবং ৮০০০ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করতে সক্ষম হয়। কিন্তু মাঝখানে বিএনপি সরকারে এসে ২০০১ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো বন্ধ করে জনগণের স্বাস্থ্য সেবার পথ রুখে দেয়। আবার ২০০৯ সালে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে রিভাইটালাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনশিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ র্শীষক প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১৪,০০০ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। পল্লী এলাকার জনগণকে বিশেষতঃ দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্টিকে একটি কেন্দ্র থেকে সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা। এই উদ্দ্যেশ্য অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকে যাত্রা শুরু হলেও আজ থেকে ১৭ বছর পুর্বে ২০০০ সালে ২৬শে এপ্রিল দেশের প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিক গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামে তৎকালিন ও বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্ভোধন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয় ও বর্তমানে অব্যহত রয়েছে ।
প্রতিটি মানুষের কিছু না কিছু স্বপ্ন থাকে যা ঐ মানুষটি নিজের বুকের মধ্যে লালন করে । মানুষটি তার স্বপ্নের চূড়ান্ত রূপ দেখতে চায় ।তেমনি আমিও কিছু স্বপ্ন দেখি ।আর আমার স্বপ্ন হলো আমি আমার নিজ এলাকার ৬ হাজার মানষকে সেবা দিয়ে একটি সুন্দর সুস্বাস্থের অধিকারী করে তাদের প্রতিনিধি হবো । আর আমি হবো তাদের সকল প্রকার সুখ দুঃখের ভাগিদার ।আমি হবো তাদের আত্বিক আত্বর স্পন্দন । আমি এই স্বপ্ন দেখি ।আমি একজন সি এইচ সি পি হিসেবে আমি আমার স্বপ্নটাকে বুকের মধ্যে লালন করি ।।।।।
0 Comments